এবার দরজায় কড়া নাড়ছে আরেকটি বিশ্বকাপ। আগামী জুনে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই দল গোছানোর কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন নির্বাচক প্যানেল। এদিকে আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আসন্ন এই সিরিজের জন্য ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের। ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন বৈশ্বিক মহারণ থেকেও বাদ পড়তে যাচ্ছেন তিনি। তবে ঠিক কী কারণে অভিজ্ঞ মিরাজকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি, সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, মিরাজকে বাদ দেওয়ার পেছনে দিলেন খোঁড়া যুক্তি।
এদিকে পাপনের ভাষ্যমতে, আমি জানতাম না। কিন্তু এখানে বেসিক জিনিসটা হচ্ছে, তারা যখন দলটা নির্বাচন করে, আপনি এখন এখানে কার কথা বলবেন, ১৫ জনের দলে বা ১৭ জনের দলের মধ্যে খেলবে কিন্তু ১১ জন। এই ১১ জন যখন আপনারা ঠিক করেন, আপনাদেরই যদি প্রশ্ন করি বলবেন, এখানে বাকিরা খেলবে না। এখন আপনি কি মনে করেন মিরাজের মত ছেলেকে না খেলিয়ে বসিয়ে রাখা উচিত।
ক্রীড়ামন্ত্রীর মন্তব্য, আমি বলছি যাদের নিয়ে খেলানোর সম্ভাবনা আছে, তারা আছে কিনা; সেটা দেখেন, বেস্ট ইলেভেন। সেরা একাদশে আপনি যদি নিজেরাই সাজাতে চান, তাহলে আপনি দেখবেন; স্কোয়াড ঠিক আছে! আপনি যদি এখন অতিরিক্ত প্লেয়ার কাকে নেওয়া হচ্ছে, সেটার ভিতরে যদি মিরাজকে ধরেন, এটা তো দুঃখজনক। এটায় মিরাজকে ধরা উচিত না। তার যেকোনো সময় যেকোনো ফরম্যাটে সেরা একাদশে খেলতে পারে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে এই মুহূর্তে সে হয়তো আসে নাই। কিন্তু সে সবসময় প্রস্তুত থাকবে। আমাদের যদি দরকার হয়, সে যাতে ওইখানে গিয়ে জয়েন করতে পারে।
পাপনের দাবি, আরেকটা কথা যে পরিমাণ খেলা ক্রিকেটে এখন সারা বছর ধরে, এটা কারোর পক্ষেই সব খেলা সম্ভব না। ওডিআই, টি-টোয়েন্টি আর টেস্ট; অনেক খেলা। আমরা বছরে যেখানে খেলতাম, দুই বা তিনটা সিরিজ, এখন আমাদের ১৫ থেকে ১৬টা খেলতে হচ্ছে। তাই সবাই যেসব ফরম্যাটে খেলবে, বিষয়টা সেটা না। মিরাজ যদি টেস্ট এবং ওয়ানডেতে মনোযোগ দেয়, তাহলে ভালো। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে খেলবে না। এমন কোন কথা নেই। যখন দরকার হবে, অবশ্যই খেলবে।